দেশে দেশে বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা

প্রতীকী ছবি

দেশে দেশে বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা

মাসুদ রানা

করোনা মহামারির মধ্যেই দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২০টির বেশি দেশে দুই শতাধিক রোগীর সন্ধান মিলেছে। পর্তুগালের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশটিতে ৫৪ জনের শরীরে ম্যাঙ্কিপক্স ভাইরাস পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৯০ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ২০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপের বেশীরভাগ দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে ভাইরাসটির সংক্রমণ ও প্রতিরোধের নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, 'আমার মনে হয়, আমরা যদি সঠিক পদক্ষেপগুলো নিতে পারি, তাহলে মাঙ্কিপক্স সহজেই রোধ করা সম্ভব। কোন দেশের কাছে কি পরিমাণ গুটিবসন্তের টিকা মজুত আছে তা প্রকাশ করতে হবে। তবে হ্যাঁ এখনি গনটিকার দরকার নেই'।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা মৃদু। অনেক কারণেই শরীরে ফুসকুড়ি উঠতে পারে, দেখা দিতে পারে র‍্যাশ; তাই ফুসকুড়ি উঠলেই তা মাঙ্কিপক্স ধরে নেওয়ার কোন  কারণ নেই।

এক বিশ্লেষক জানান, 'যে কোন সংক্রমণ অবশ্যই ঝুকির। মাঙ্কিপক্স সংক্রামিত ব্যক্তিদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি শুধুমাত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে যে কোন কারণে। আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। আমি মনে করি এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে না'।

ব্রিটেনে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সাতজনকে নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়, যা ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এ গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু ‘অ্যান্টিভাইরাল’ ওষুধ আছে, যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ প্রশমিত করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এসব ওষুধ প্রয়োগ করে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি গবেষকদের।

news24bd.tv/রিমু