গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর

সংগৃহীত ছবি

গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর

মাসুদা লাবনী

রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলবাগ ঝিলপার এলাকায়  ভাড়া বাসায় স্বামীর সাথে বসবাস করতেন পাপিয়া সারোয়ার মিম (১৮)। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই গৃহবধু শান্তিবাগে অবস্থিত ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ নারীর মা পারভীন আক্তার  বলেন, তিন বছর পূর্বে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী মো. রামিমের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়েছিল তাদের। কিন্তু তার চরিত্র ভালো ছিলো না। বিয়ের পর থেকে অন্য নারীকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতো। এসব কারনে গত বছর হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তার মেয়ে মিম।

তিনি জানান, আজও এসব কারণে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে। দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে খিদমাহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে বিকেল আড়াইটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ মিম কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের ডিম ব্যবসায়ী আরশাদ মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী একই জেলার বাসিন্দা উজিরাকান্দি গ্রামের। দুই বোন এক ভাই এর মধ্যে মিম সবার বড়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, মিমের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

দগ্ধের স্বামী রামিম বলেন, কি কারনে কেন গায়ে আগুন দিয়েছে মিম-এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সে সময় আমি বাসার বাইরে ছিলাম।

news24bd.tv/desk