বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।  এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। আজ সকাল ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়।

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরকারের পক্ষে তাঁর মরদেহ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিমানবন্দর থেকে বেলা একটার দিকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে প্রথমে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র গান গেয়ে কালজয়ী এই গানের স্রষ্টাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবীর আহাম্মদ শ্রদ্ধা জানান। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।  এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বেলা তিনটা পর্যন্ত চলে এই শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। সেখানে আবারও এক মিনিট নীরবতা পালন এবং একুশের সেই গান গেয়ে তাঁকে বিদায় জানানো হয়।  

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জানাজা হয়। পরে তাঁর কফিন নেওয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানেও আরেক দফা জানাজা পড়া হয়। সেখানে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়। সাংবাদিক, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এরপর অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী গাফ্ফার চৌধুরীকে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্ত্রীর কবরের পাশে শেষ শয্যায় শায়িত করা হয়।

news24bd.tv/কামরুল