ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সহায়তা, আবারও রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সহায়তা, আবারও রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে শুরু হয় এই অভিযান তিন মাসেরও বেশি সময় অতিক্রম করেছে। রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। রাশিয়ার মাটিতে আঘাত হানতে পারে- এমন অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করার বিষয়ে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

পশ্চিমাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়াতে এটা হবে মারাত্মক একটি পদক্ষেপ। ’

রাশিয়ার অভিযান ঘিরে এতদিন ইউক্রেনকে নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছিল পশ্চিমারা। এ নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল মস্কো।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ‘বুদ্ধিমান লোকজন’ ইউক্রেনের অস্ত্রভাণ্ডার আরও বাড়ানোর বিপদ বুঝতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

সম্প্রতি কিয়েভকে ভারী অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, তাদের আরও শক্তিশালী কামান দরকার। এই একটি দিক দিয়েই তাঁরা মস্কোর চেয়ে পিছিয়ে আছেন।

এদিকে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে গত কয়েক সপ্তাহে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে আমেরিকা ও তার মিত্রদেশগুলো। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এম-৭৭৭ হোইতজার কামান।

এ ছাড়া হোয়াইট হাউস কিয়েভকে এম-১৪২ রকেট নিক্ষেপ ব্যবস্থা দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা। এই ব্যবস্থায় ব্যবহার করা গোলা কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সব সময় ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে আমেরিকার দেয়া গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

news24bd.tv/রিমু