মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন নৌঘাট পর্যন্ত ফেরিঘাট চালুর দাবি

সংগৃহীত ছবি

মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন নৌঘাট পর্যন্ত ফেরিঘাট চালুর দাবি

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন নৌঘাট পর্যন্ত, পদ্মা নদীতে ফেরিঘাট চালুর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে ফেরিঘাট স্থাপনের দাবিতে।

উল্লেখ্য, দোহার মৈনটঘাট নৌপথ ব্যবহার করে, প্রতিদিন ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ি, যশোরসহ দেশে বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দোহার মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন নৌঘাট পর্যন্ত, সন্ধ্যার পর সব ধরনের পারাপার, নৌযান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

তখন কেউ জরুরি প্রয়োজন হলেও পদ্মা নদী পারাপার হতে পারে না। তাই মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরিঘাট চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য লোক আসে দোহারের পর্যটন এলাকা মৈনটঘাটের মিনি কক্সবাজার এলাকায়। অনেকে আবার মৈনটঘাট দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ভ্রমণে যান।

এছাড়া ফরিদপুরের চরভদ্রাসনসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ নদী পথে এই নৌপথটি ব্যবহার করে থাকে। ফলে নৌপথে যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন ঘাট পর্যন্ত ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করলে, সরকারের যেমন রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন হবে।

এছাড়া সেটুগেদার নামক একটি সামাজিক সংগঠন এর উদ্যোক্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, ফেরি চালু হলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, এখানে গড়ে উঠবে ব্যবসা বাণিজ্য। দুর হবে বেকারত্ব। তাই জরুরি ভিত্তিতে গোপালপুর মৈনটঘাট পদ্মা নদীতে ফেরি চালু করা হোক।

ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাট থেকে চরভদ্রাসন ঘাট পর্যন্ত, পদ্মা নদীতে ফেরিঘাট চালুর বিষয়ে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কো-অর্ডিনেটর অফিসার মো. বসির উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি জানালে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

news24bd.tv/কামরুল