খুলনার সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে আগামীকাল বুধবার থেকে ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও বাস-মিনিবাস কোচ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘট ডেকেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা।
তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নছিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ইতোমধ্যেই খুলনার ১৮টি রুটে চলাচলরত পরিবহন মালিকদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খুলনা থেকে মাওয়া, বরিশাল, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, আন্তঃজেলা খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-দাকোপ, খুলনা-কয়রা, খুলনা-ডুমুরিয়াসহ ১৮টি রুটে প্রায় ১ হাজার বাস চলাচল করে। কিন্তু সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের কারণে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে অন্যদিকে এ অঞ্চলের পরিবহন মালিকরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপদজনক অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন। মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে হরহামেশা চলছে এসব যানবাহন। মহাসড়কে তিন চাকার এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানিসহ আহতের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।
তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্ঘটনা রোধে ২০১৫ সালের আগস্টে দেশের ২২টি প্রধান মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল।
এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সব প্রধান মহাসড়কে এ ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়।
এছাড়া ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়িগুলো মহাসড়কে উঠতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও মাঠ পর্যায়ে এ আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি। নিরাপদ সড়ক চাই এর পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি মহাসড়ক থেকে অবিলম্বে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করা হোক।
news24bd.tv/রিমু