সদরপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে হত্যার ১৩ দিন পর মামলা

সংগৃহীত ছবি

সদরপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে হত্যার ১৩ দিন পর মামলা

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির শিশু ছেলে রাফসানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ১৩ দিন পর থানায় মামলা হয়েছে।  

মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত রাফসানের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি।

মামলার বিষয়ে সদরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার কৃষ্ণ কুমার জানান, মামলা দায়েরের পর তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।

গত ১৮ মে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির সদরপুর সদরের বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় চেয়ারম্যানের শিশু ছেলে রাফসানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয় স্ত্রী দিলজাহান রত্নাকে। বর্তমানে দিলজাহান ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ঘটনার পর হামলার হোতা এরশাদ মোল্লা জনরোষ থেকে বাঁচতে টিএন্ডটি টাওয়ারে উঠে সেখান থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির সাথে বিরোধ চলছিল একই এলাকার মোস্তফা মৃধার। এ বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সম্প্রতি, পারিবারিক কলহের জের হিসেবে এরশাদ শেখ ও তার স্ত্রীকে নিয়ে শালিস বৈঠক করেন চেয়ারম্যান। সেই শালিসে এরশাদ শেখকে জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয় এরশাদ শেখ। এরশাদ শেখের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে মোস্তফা মৃধাসহ আসামিরা গত ১৮ মে চেয়ারম্যানের সদরপুর উপজেলা সদরের বাড়িতে হামলা চালায়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলার ২নং আসামি নাজমুল ইসলাম বাবু মোল্লা বিগত ১৬ মে দুপুরে চেয়ারম্যানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান হলেই সব বিষয়ে নাক গলাতে নেই। আপনাকে শায়েস্তা করতে চার কোটি টাকা রাখিয়াছি।  

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মোস্তফা মৃধা (৫০), নাজমুল ইসলাম বাবু মোল্লা (৪২), এরশাদ  মোল্লা (টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যাকারী) (৩৮), ইমরান মোল্লা (৩০), রাকিব মোল্লা (২৪), রুহুল আমিন (রিপন) মোল্লা (৫৩), আলমগীর (৪০), রবিউল মোল্লা (২৫) ও সামেলা বেগম (৫৮)।  

এদের মধ্যে আলমগীরের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখালী থানার ফকিরহাটি গ্রামে। বাকি সবার বাড়ি সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।  

ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি বলেন, রাজনৈতিক কারণে আসামিরা আমাকেসহ পরিবারকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। আমি ঢাকায় অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যাই। আসামিরা নৃশংসভাবে আমার শিশু ছেলে হত্যা করে। আমার স্ত্রীকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। সে এখনও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

news24bd.tv/কামরুল