বাইডেনের সফরের আগে সৌদি যুবরাজের প্রশংসা হোয়াইট হাউসের

সংগৃহীত ছবি

বাইডেনের সফরের আগে সৌদি যুবরাজের প্রশংসা হোয়াইট হাউসের

অনলাইন ডেস্ক

চলতি মাসেই সৌদি আরব সফর করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সফরের আগে ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোয় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসাও করেছে হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর ঘণ্টার মধ্যেই সৌদি বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভিনন্দন জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে।

ক্যারিন জেন পিয়েরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সহযোগিতামূলক পররাষ্ট্রনীতির কল্যাণে যুদ্ধ বিরতি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

এর পুরো কৃতিত্ব সৌদি বাদশা সালমান ও যুবরাজের। তাদের উদ্যোগের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে’।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, কলামিস্ট জামাল খাশোগি হত্যার কারণে সৌদি আরবকে অপছন্দ করতেন বাইডেন। তিনিই এখন চলতি মাসে তেল সমৃদ্ধ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য রিয়াদ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কারণ তিনি দেশে গ্যাসের দাম কমানোর উপায় খুঁজছেন এবং বিদেশে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে চান।

ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের দাম কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি মানবাধিকার প্রসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান আরো স্পষ্ট করতে চান তিনি। পূর্ব পরিকল্পিত ইসরায়েল, জার্মানি এবং স্পেনে সফরকালে তিনি রিয়াদে যাত্রা বিরতি দিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তাই এই সফরটি পরিকল্পিত সফরগুলোর অন্তর্ভূক্ত হবে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের নতুন কোনো সফরের পরিকল্পনা নেই। তবে সৌদির ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বাইডেনের সাক্ষাতের বিঘ্ন ঘটবে না। এছাড়াও বাইডেন মিশর, জর্ডান, ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য আরব দেশের নেতাদের সাঙ্গেও বৈঠক করবেন।

তেল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত ইয়েমেনে শান্তি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে সৌদি আরব সহায়তা করার বিষয়ে সম্মত হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর বাইডেন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি মাসে বাইডেনের সফর সফল এবং দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল রাখার উদ্দেশ্যে সৌদি যুবরাজের এই ‘বিরল’ প্রশসংসা করেছে হোয়াইট হাউস।

তবে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে প্রশংসা করলেও জামাল খাশুকি হত্যার সমালোচনা করতে ভুলেনি হোয়াইট হাউস। ঘটনার জন্য এখনো সৌদি যুবরাজকে ‘ব্রাত্য’ মনে করে বলেও বিবৃতি দিয়েছি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

এদিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকান্ড ও গুমের বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আকারে ইঙ্গিতে বিভিন্ন সময়ে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয় জামাল খাশুগি হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এমবিএস। সৌদি প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থার ওপরই আস্থা রেখেছেন বলে বাইডেন প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে।

news24bd.tv/আলী