লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জননী পরিবহন নামের যাত্রীবাহী একটি বাসে এক তরুণীকে দুই যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে মো. শাহজাহান (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শাহজাহান রামগঞ্জ পৌরশহর বাস স্ট্যান্ডে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। তিনি রামগঞ্জ পৌর পশ্চিম কাজীরখীল গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মৃত নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে রামগঞ্জ পৌরশহরের বাস স্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে আজাদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও জননী বাস মালিক সমিতির সদস্য আবুল কালাম জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা জননী পরিবহনের ওই বাসের চালক আজাদ জানায় পশ্চিম কাজীরখীল গ্রামের আখন বাড়ির এমরান হোসেন (২৬) তার বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে বাস টার্মিনাল এলাকার নাইটগার্ড শাহাজাহানসহ বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ওই সময় তারা দেখতে পান, এমরান ও তার সহযোগী ওই তরুণীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। এতে শাহজাহান বাধা দিলে তাকে মারধর করে তারা পালিয়ে যায়। এরপর শাহজাহান পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের সামনে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
উদ্ধার হওয়া তরুণী জানান, তিনি চাটখিল থেকে নোয়াখালী সোনাপুর যাওয়ার জন্য জননী নামের ওই বাসে উঠেন। কিন্তু ভুলক্রমে রামগঞ্জ সোনাপুর নামক স্থানে চলে আসেন। রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল এসে তিনি বুঝতে পারেন তিনি ভুলক্রমে উল্টোপথে চলে এসেছেন। ঘটনাটি আজাদকে জানালে তিনি তাকে নোয়াখালীগামী অন্য বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে বসতে বলেন।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
news24bd.tv/কামরুল