আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর বৈঠকে মিয়ানমার এ প্রস্তাব দেয়। নিউইয়র্কে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে একথা বলা হয়েছে।
নিউইয়র্কে নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে বলা হয়।
বৈঠকে মিয়ানমারের উপদেষ্টা জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বসতে চায়।আগেও মিয়ানমার এ ধরনের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আলোচনার টেবিলে তাদের কাছ থেকে এ সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার প্রমাণ মেলেনি।
গত বছরের অক্টোবরে রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে মিয়ানমার ৩ মাস সময় নিয়েছিল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার জন্য।
এর আগে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে মে মাসে মিয়ানমার সরকারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনায় সচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা বলা আছে যারা পুরনো পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে নাকি নতুন কোনো উপায় বের করা হবে সেটি নিয়েও আলোচনা করবে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।