নাটোরে একটি মুরগী রক্ষায় ৩শ লোককে দাওয়াত

নাটোরে একটি মুরগী রক্ষায় ৩শ লোককে দাওয়াত

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের আনন্দ নগর মহল্লায় একটি মুরগির দাবি নিয়ে দুই প্রতিবেশী নারীর বিবাদ গড়িয়েছে গ্রাম্য শালিস পর্যন্ত। শালিসে মুরগিটি কাউকে না দিয়ে একটি মাদ্রাসায় এতিমদের খাবার হিসেবে দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।  শালিসের সিদ্ধান্ত একজন মানলেও অন্যজন মানতে নারাজ। অতঃপর স্বামী তার স্ত্রীকে শালিসের রায় মানাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মত্যার হুমকি দিয়ে শেষমেষ আত্মগোপনে চলে যান।

 

এদিকে, স্ত্রী স্বামীকে জীবিত ফেরত পেতে এক জোড়া খাসি মানত করেন। খাসির মাংস দিয়ে খিচুরি রান্না করে তিনশত লোককে খাওয়ানোর আয়োজন করা হল। এটি কোন গল্প নয়। ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা।

 

জানা যায়, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আনন্দ নগর মহল্লার নুর ইসলাম নুরু ও প্রতিবেশী রবিউল করিম রবির স্ত্রীদের মধ্যে একটা মুরগীর দাবি নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয়। এ দ্বন্দ্ব শালিস পর্যন্ত গড়ালে স্থানীয় মাতবররা মুরগিটি একটি মাদ্রাসায় দান করতে সিদ্ধান্ত দেন।  

সিদ্ধান্তটি রবিউল করিমের স্ত্রী মানলেও মানেননি নুরুল ইসলামের স্ত্রী। মুরগী দান না করার সিদ্ধান্ত নিলে স্ত্রীর উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান নুরুল ইসলাম। তাকে ফিরে পেতে স্ত্রী মানত করেন জোড়া খাসি জবাই দিয়ে গ্রামবাসীকে খাওয়ানোর।

আজ শুক্রবার (৩ জুন) সকাল থেকে নুরুল ইসলামের বাড়িতে চলছিল খাসির মাংস প্রস্তত, রান্নার আয়োজন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।  

নুরু ইসলাম নুরুর ছেলে শেখ ফরিদ জানান, মুরগী নিয়ে দ্বন্দ্বে তার বাবা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে যান। বাবাকে জীবিত ফেরত পেতে মা খাসি মানত করেন। আজ সে মানতের খাসির মাংস দিয়ে অতিথিদের খাওয়ানো হয়েছে। ৩০০ জন মানুষ সেই মাংস দিয়ে খিচুরি খেয়েছেন।

news24bd.tv/কামরুল