আগুন : ডাক্তার-নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান

সংগৃহীত ছবি

আগুন : ডাক্তার-নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি–ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।

এরই মধ্যে আগুনে তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আর আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে চারজন কর্মী। এছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন  ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী চট্টগ্রামে অবস্থান করা সকল চিকিৎসক ও নার্সকে মানবিকতার দিক বিবেচনা করে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে অতি দ্রুততার সাথে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে চট্টগ্রামের যে কোনো প্রান্তে যেসব চিকিৎসক-নার্স অবস্থান করছেন, খবর পাওয়া মাত্র শুধু অ্যাপ্রোন গায়ে জড়িয়েই আপনারা মেডিক্যালে ছুটে আসুন।  

আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক দগ্ধ হওয়ার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী এবং রক্তদাতাদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

আগুনে দগ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে। এজন্য রক্তদাতাদের দ্রুততার সাথে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে আসার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়াও চট্টগ্রামের যে কোন প্রান্তে অবস্থান করা সকল অ্যাম্বুলেন্সকেও সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন জেলার সিভিল সার্জন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত নয়টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে আহত হন।

news24bd.tv/আলী