চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএমএ কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের কাছে যেতে না পারায় ওপর থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
রাসায়নিক পদার্থ যাতে সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে সে জন্যও কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার রাতে আগুন লাগার পর কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে পৌঁছেছে। দুপুরেও ডিপো থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে পানি ছিটাতে পারছে না। ফায়ার সার্ভিসের পানি পেতেও সমস্যা হচ্ছে। দূর থেকে তাদের পানি আনতে হচ্ছে। এসব কারণে ওপর থেকে পানি ছিটাতে হচ্ছে।
এদিকে বিস্ফোরণের পর রাসায়নিকগুলো যাতে সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে সে জন্য আশপাশের খাল ও নালায় সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ০১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা আজ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেনাবাহিনী কনটেইনার ডিপোতে কাজ করবে। ’
ডিপোটিতে এক হাজার ২০০ কনটেইনার ছিল বলে জানিয়েছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান। তিনি বলেন, ‘এসব কনটেইনারের মধ্যে খালি ছিল তিন হাজার। ’ তবে কী পরিমাণ রাসায়নিক রয়েছে তা তিনি জানেন না।
news24bd.tv/কামরুল