চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনো জ্বলছে। অনেক কনটেইনারের ভেতর থেকে কুণ্ডলি হয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল রবিবার বিকালে আগুনের মাত্রা কমে আসে। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার পর আবারও আগুনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
ধারণা করা হচ্ছে, এসব আগুনের উৎস জুট, তুলা ও কাপড় ও রাসায়নিক পণ্য। ফলে জুট, তুলা, কাপড় আর রাসায়নিক পণ্যের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব পণ্যের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
এদিকে ডিপোর ভেতরে আরো অনেকগুলো রাসায়নিক পণ্য ভর্তি কনটেইনারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেখানে অন্তত রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি ৪টি কনটেইনার পাওয়া গেছে। এই কনটেইনারগুলো নিরাপদ দূরত্বে সরানো হয়েছে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের তদারকি কর্মকর্তা লে. কর্ণেল আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, ডিপোতে আরও ৪টি রাসায়নিক কনটেইনারের সন্ধান পাওয়ার পর সেগুলো নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক।
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটউিটে ১৪ জন রোগী এখন ভর্তি আছেন। একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর ৪ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবুল কালাম।
news24bd.tv/রিমু