করোনা মহামারির কারনে ধারণা করা হচ্ছিল, পরবর্তী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হবে। জনস্বাস্থ্যবিদগণ বলে আসছেন, জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সেরকমটি করা হয়নি। বাজেটে এবারও জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য।
গত অর্থবছরে স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দ হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। তবে অনেকেই মনে করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দুর্বলতা, তারা বরাদ্দ খরচ করতে পারে না। বছর শেষে এই মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ফেরত যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, ‘মোট জাতীয় বাজেট বেড়েছে ১৪ শতাংশ। সেখানে স্বাস্থ্যের বাজেট বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ স্বাস্থ্য খাতে যে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
গত কয়েকটি অর্থবছরে মোট বাজেটের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৬ শতাংশের নিচে থেকে যাচ্ছে। করোনা মহামারি কালে ২০২০–২০২১ ও ২০২১–২০২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
২০২০–২০২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল মোট জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২১–২০২২ অর্থবছরে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আর আগের তিনটি অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৭–১৮, ২০১৮–১৯ ও ২০১৯–২০ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ২, ৪ দশমিক ৮ এবং ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
news24bd.tv/desk