ক্রোয়েশিয়াকে কাঁদিয়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়

ফ্রান্সের খেলোয়ারদের উল্লাস।

ক্রোয়েশিয়াকে কাঁদিয়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ক্রোয়েশিয়াকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে নিল ফ্রান্স। শুরুতে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপ জয়ী  ফ্রান্স। কিছু পরেই ক্রোয়েশিয়াকে সমতা ফেরান ইভান পেরিসিচ। তার একটু পরেই পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সেকে আবার এগিয়ে দেন গ্রিজমান।

দ্বিতীয়ার্ধে ৩-১ ব্যবধান বাড়ান পল পগবা ও কিলিয়ান এমবাপে। এর পরে গোলরক্ষক উগো লরিসের ভুলে ফ্রান্সকে গোল দেন মারিও মানজুকিচ।

মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বল দখলে রেখে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে ভালো কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি।

রাশিয়ার লুজনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। শুরুর থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণে থেকেছে ক্রোয়েশিয়া। তবে ভালো কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। কিন্তু একটি সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগায় ফ্রান্স।

১৮তম মিনিটে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি-কিক হেডে বিপদমুক্ত করতে মাথায় ছোঁয়া লেগে জালে ঢোকায় কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচের।

২৮তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন ইভান পেরিসিচ। ফ্রি-কিক থেকে ডি-বক্সে আসা বল জটলা থেকে দোমাগোই ভিদা কাটব্যাক করেছিলেন। ডান পা দিয়ে বল আয়ত্তে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষক উগো লরিসকে ফাঁকি দেন সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সমতা ফেরানো পেরিসিচ। টুর্নামেন্টে এটি তার তৃতীয় গোল।

দশ মিনিট পর আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স পেনাল্টি থেকে। কর্নার থেকে ডি-বক্সে আসা বলে লেগেছিল পেরিসিচের হাতের ছোঁয়া। রেফারি মাঠের বাইরে  গিয়ে ভিডিও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেন স্পট-কিকের। ঠাণ্ডা মাথায় টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার সমতা ফিরতে পারতো। ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে আন্তে রেবিচের শট দুর্দান্তভাবে ঠেকান উগো লরিস।

৫২তম মিনিটে পল পগবার বাড়ানো বল ধরে দুর্দান্ত গতিতে ভিদাকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন পিএসজির ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে।

দ্বিতীয়ার্ধেও অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। ৫৯তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে এমবাপের ক্রস ধরে গ্রিজমান বল পাঠান পেছনে থাকা পল পগবাকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের ডান পায়ের প্রথম শট ফেরে রক্ষণে। ফিরতি বলে বাঁ পায়ের শট যায় জালে।

ছয় মিনিট পর এমবাপের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান। বাঁ দিক থেকে লুকা এরনঁদেজের পাসে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নিচু শটে করেন টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ গোল।

পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে ফাইনালে গোল পেলেন ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

এরপরই গোলরক্ষক উগো লরিসের মারাত্মক ভুলে ৪-২-এ এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।

দুই দলই সেমি-ফাইনালের শুরুর একাদশ ফাইনালে রেখেছে। ক্রোয়েশিয়ার সামনে প্রথমবার ফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের হাতছানি। আর তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠা ফ্রান্সের লক্ষ্য দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়।

ফ্রান্স একাদশ: উগো লরিস, সামুয়েল উমতিতি, রাফায়েল ভারানে, লুকা এরনঁদেজ, বাঁজামাঁ পাভার্দ, এনগোলা কঁতে, পল পগবা, ব্লেইস মাতুইদি, অঁতোয়ান গ্রিজমান, কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ে জিরুদ।

ক্রোয়েশিয়া একাদশ: দানিয়েল সুবাসিচ, দোমাগোই ভিদা, দেয়ান লভরেন, ইভান স্ত্রিনিচ, শিমে ভারসালকো, লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রজোভিচ, ইভান রাকিতিচ, মারিও মানজুকিচ, আন্তে রেবিচ, ইভান পেরিসিচ।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর