জায়েদ-সানী দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়াস কাঞ্চন

জায়েদ-সানী দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়াস কাঞ্চন

অনলাইন ডেস্ক

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন ঢাকাই ছবির আরেক চিত্রনায়ক ওমর সানী। অভিযোগগুলোর সবই চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ঘিরে; জায়েদ খান সানী-মৌসুমীর সুখের সংসারে ভাঙনের চেষ্টা করছেন, মৌসুমীকে গত ৪ মাস ধরে বিরক্ত করছেন জায়েদ।  

আর এসব অভিযোগ নিয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর অভিযোগপত্রও লিখেছেন সানী।

বিষয়টি নিয়ে যখন উত্তাল সিনেপাড়া তখন ওমর সানীর অভিযোগপত্র নিয়ে কথা বললেন  শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ চিত্রনায়ক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওমর সানীর দেয়া লিখিত অভিযোগের চিঠি হাতে পেয়েছি। এই বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আগামী সভায় কথা হবে। তারপর সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্যরা মিলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। অল্প কিছুদিন আগেই একটি সভা হয়ে গেছে।

সভার নির্ধারিত তারিখ ঠিক করা হয়নি এখনো। ’

মূলত: ঘটনার সূত্রপাত গত ১০ জুন রাতে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে।  

রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারের সেই অনুষ্ঠানে জায়েদকে চড় মারেন সানী। জায়েদ পিস্তল দেখিয়ে গুলি কর দেবেন বলে হুমকি দেন সানীকে। এরপর দুজনেই খাবার না খেয়ে বেরিয়ে যান।

যদিও চড়-পিস্তলের বিষয়টি রীতিমতো অস্বীকার করে আসছেন জায়েদ খান ও ডিপজল।

তবে এরপরই জায়েদের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙা ও তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির কাছে বিচার চান ওমর সানী।

ওই অভিযোগপত্রে ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর ওমর সানী লিখেছেন, ‘জায়েদ খান দ্বারা আমার সংসার ভাঙা এবং আমাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি প্রসঙ্গে অভিযোগ। ’

ওমর সানী লেখেন, ‘আমি ওমর সানি অত্র সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বোঝানো চেষ্টা করেছি।

তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওই বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

অতএব আমি মনে করি এমন একজন পিস্তলধারী সন্ত্রাসী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না। উল্লেখিত বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা-পূর্বক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিনীত অনুরোধ করছি। ’

news24bd.tv তৌহিদ