কুসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, ফলাফলের অপেক্ষা

সংগৃহীত ছবি

কুসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, ফলাফলের অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

শেষ হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনেরে ভোট গ্রহণ। বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমে। এর আগে সারাদিন অনুষ্ঠিত ভোটে প্রায় সবকেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

তবে সকালে বৃষ্টির জন্য ভোটারের উপস্থিতি কম চোখে পড়ে।  

নির্বাচনে বড় ধরণের কোনও অপ্রিতিকর ঘটনার খবর না পাওয়া গেলেও আচরণবিধি ভঙের দায়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে  ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরা হলেন- কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), টানা দুইবারের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ)।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ১০৬ জন প্রার্থী।

নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। ‌ বুধবার রানীর দীঘির পাড় ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নেব। আমি জয়ী না হলেও যিনি জয়ী হবেন তাকে আমি সবার আগে ফুলের মালা দেবো।  

অপরদিকে জয়ের ব্যাপারে হানড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। বুধবার নগরীর হোচ্ছামিয়া বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে তিনি বলেন, আবহাওয়াটা ভালো হলে আমার জন্য একটু ভালো হতো। ইনশাআল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আমি হানড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত।  

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট হয়।  

নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে আছেন ১৫ ও ১৬ জন করে পুলিশ। আনসারসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও আছেন প্রতিটি কেন্দ্রে।

পুলিশের মোবাইল ফোর্স আছে ২৭টি, প্রতি ওয়ার্ডে একটি। স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়টি। রিজার্ভ ফোর্স দুটি। আর বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন, র‌্যাবের ২৭টি টিম আছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেট ও নয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।

ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত আছে দুই হাজার ৫৬০ জন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৬৪০ জন, পোলিং অফিসার ১২৮০ জন এবং সহকারী পোলিং অফিসার ৬৪০ জন।

news24bd.tv/আলী