বান্দরবানে থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬০কিলোমিটার দূরত্বে দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬জুন থেকে পাড়াবাসী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় নারিচ্যা পাড়ায়। এছাড়া ইয়ংনং পাড়া, উছোমং পাড়া, চিংসং পাড়া ও মেনতাং পাড়ায়ও ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
নদী ও ছড়ার দূষিত পানি পান করায় বিভিন্ন পাড়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে রেমাক্রি ইউপি চেয়ারম্যান মুইসুইথুই মারমা।
এদিকে কয়েকদিন ধরে দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির সংবাদে স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকটি চিকিৎসক দল দুর্গম এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে আর আক্রান্তদের ওরস্যালাইন, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করছে। আক্রান্ত অনেকেই থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে।
এদিকে দুর্গমতার কারণে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট ও স্বাস্থ্যসস্মত স্যানিটেশনের অপ্রতুলতা কারণে পাহাড়ে এই সময়টা ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ও স্বাস্থ্যবিভাগ এর কর্মীরা আক্রান্ত পাড়াগুলোতে সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা: নীহার রঞ্জন নন্দী।
ডায়রিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধির সংবাদে ১৫ জুন (বুধবার) সকালে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু সহ স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তিকৃত রোগীদের পরিদর্শন করেন এবং তাদের স্বাস্থ্যর খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সেবা প্রদানের জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসকদের নিদের্শনা প্রদান করেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্র জানান,ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে থানচির রেমাক্রীসহ দুর্গম আন্ধারমানিক এলাকায় গত এক সপ্তাহে এই পর্যন্ত ৮জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান,বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নজর দিয়েছি এবং থানচির বিভিন্ন ডায়রিয়া প্রকোপ এলাকার প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে আক্রান্তদের সেবা ও সকল প্রকার ওষুধ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
news24bd.tv তৌহিদ