বিয়ে না দেওয়ায় নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

বিয়ে না দেওয়ায় নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে বখাটের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়ায় এক নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দুইদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের পর নববধূকে বাবার বাড়ি ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নববধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথ পুর গ্রামের হাবিবর রহমান শেখের ছেলে দবির শেখ ও তার সঙ্গীরা ওই উপজেলার এক কৃষকের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

স্থানীয় নেতাদের কাছে এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে প্রতিকার পায় না ওই কৃষক। পরে কিছুদিন আগে পাশের গ্রামে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে নববধূ বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিল।

পথিমধ্যে দবির ও তার সঙ্গীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ঘটনার দুইদিন পর সোমবার সকালে অপহরণকারীরা নববধূকে তার বাবার বাড়ি ফেলে যায়।

অসুস্থ নববধূকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।

নববধূর চাচা বলেন, বাড়িতে ঘর তোলার কাজে গিয়ে রাজমিস্ত্রি দবির আমাদের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে দবির।

মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিলে দবির তার ঘোষণা অনুযায়ী মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে বাড়িতে ফেলে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্যাতিত নববধূকে দেখতে যাওয়া ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সাবিনা পারভীন বলেন, প্রভাবশালী রাজমিস্ত্রি দবির ও তার সঙ্গীরা ঘোষণা দিয়ে এই নববধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর বাড়িতে ফেলে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল আলম বলেন, গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গৃহবধূর মেডিকেল করার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খোকসা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) তালুকদার আসাদুজ্জামান জানান, তিনি নির্যাতিত নববধূর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়েটি খুবই অসুস্থ থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত খবর