তালাকনামা পাঠানোর জেরে শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় মাটিকুমড়া গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আজগার আলী সরদার (৫৫)। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
নিহত ব্যক্তির পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার বরেয়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সালাহউদ্দিনের (২৭) সাথে বিয়ে হয় শিল্পী খাতুনের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন সালাহউদ্দিন। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিস হয়েছে।
আজগার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বলেন, সালাহউদ্দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্বশুরকে হত্যা করছেন। তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে ভিসা করিয়ে রেখেছেন। যেকোনো সময় সালাহউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন তিনি।
মৃত আজগার আলীর ভাই আক্তার হোসেন বলেন, তাঁর ভাই গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রতিদিনের মতো ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত একটার দিকে সালাহউদ্দিন দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আজগারকে জখম করে পালিয়ে যান। পরে আজগারের চিৎকারে তিনিসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজগার আলীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে সালাহউদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে আজগার আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হবে।
news24bd.tv/শুভ