প্রায় দুই সপ্তাহ পর যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ পয়েন্টে পানি বাড়েনি। তবে এখনও পানি বিপৎসীমার ৫০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া যেসকল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছিল সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ’
এ দিকে দুর্গত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বন্যায় জেলার ছয় হাজার ৯২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর বলেন, ‘ বন্যায় পাঁচটি উপজেলার নিমাঞ্চলের ছয় হাজার ৯২ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তীল, কাউন ও বাদামসহ শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
news24bd.tv/তৌহিদ