ভাইকে ফাঁসাতে সন্তানকে হত্যা!

ভাইকে ফাঁসাতে সন্তানকে হত্যা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

হবিগঞ্জের বাহুবলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ফরিদ মিয়া (৪৫)।  

কাল বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর আক্তারের আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানায়, জেলার বাহুবল উপজেলার সুয়াইয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই শুকুর মিয়ার (৫৫) সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে শুকুর মিয়া ও তার ছেলেরা ফরিদ মিয়াকে মারধর করেন।

ফরিদ মিয়া দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কোনো রকম সংসার চালিয়ে আসছিলেন। ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের সম্রাট মিয়ার ছেলে সাজন মিয়াকে (২০) নিয়ে তিনি তার ভাইকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করেন। এরপর নিজের ছোট মেয়ে নাইমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

জবানবন্দিতে ফরিদ মিয়া জানান, ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট মেয়ে নাইমা স্কুল থেকে বাড়ি এসে থালা-বাসন মাজতে পুকুর ঘাটে যায়।

পরে সাজনকে নিয়ে ফরিদ মিয়া পুরাতন একটি মশারি দিয়ে পুকুর ঘাটেই নাইমার মুখ চেপে ধরে পুকুরের কিনারায় ঝোপের নিচে চুবিয়ে হত্যা করে। তারা নাইমার ওপর কচুরিপানা দিয়ে চলে আসে। পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।  

নাইমাকে উদ্ধারের দিনই ভাইয়ের পরিবারের ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন ফরিদ। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে এই লোমহর্ষক ঘটনা বেরিয়ে আসে।

নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, ভাইকে ফাঁসাতেই ফরিদ মিয়া তার কন্যাকে হত্যা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার ফরিদ মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর