ইইউর সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা পেলো ইউক্রেন

সংগৃহীত ছবি

ইইউর সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা পেলো ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রার্থী হিসেবে মর্যাদা দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ইউক্রেনকে প্রার্থী হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। ইউরোপিয়ান কমিশন সবুজ সঙ্কেত দেয়ার পর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৫২৯টি এবং বিপক্ষে ১৪টি।

খবর বিবিসি ও আরটি ।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মলদোভাকেও ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়া জর্জিয়াকেও একই মর্যাদা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পার্লামেন্ট বলেছে, ‘ইউক্রেনীয়, মলদোভান ও জর্জীয়রা মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ দেশে বসবাসের দাবিদার, যারা ইউরোপীয় পরিবারের গর্বিত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিল ইউক্রেন। তার পর প্রক্রিয়াটি রেকর্ড গতিতে এগিয়েছে। ইইউতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে বলেছেন, এটি ইউক্রেনীয়দের জন্য মানসিকভাবে উৎসাহ দেবে। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, কেবল যুদ্ধ শেষ হলেই ‘বাস্তবের শান্তি’ ফিরে আসবে। প্রার্থীর মর্যাদা হলো ইইউ সদস্যপদ লাভের প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ।  

ফ্রান্স এই সপ্তাহে বলেছে, ইউক্রেনের বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ ঐকমত্য’ রয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে বহু বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং এ যাত্রায় সফল হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রার্থী সদস্য হিসেবে সুপারিশ করে। এর ফলে ইউরোপীয় ব্লকে ইউক্রেনের যোগদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হয়। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন গত ১৭ জুন এ সুপারিশের কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট। এ সময় ইউক্রেনসহ মলদোভা ও জর্জিয়ার ইইউ সদস্যপদের আবেদনের বিষয়ে বক্তব্য দেন তিনি।  

তিনি বলেন, আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে- আর তা হলো, হ্যাঁ ইউক্রেনের ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রাপ্য। ইউক্রেনকে একটি প্রার্থী রাষ্ট্র হিসেবে স্বাগত জানানো উচিত। ভালো কাজ সম্পন্ন হবে ভেবে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনো বাকি। পুরো প্রক্রিয়াটি মেধাভিত্তিক। ফলে তা নিয়ম অনুসারে চলবে এবং অগ্রগতি নির্ভর করছে পুরোপুরি ইউক্রেনের ওপর।

এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি- ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী তিন দেশের নেতারা বলেছেন, তারা ইইউতে যোগ দেয়ার জন্য ইউক্রেনের আবেদন সমর্থন করেন এবং অবিলম্বে ইউক্রেনকে সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দেয়া উচিত।  

news24bd.tv/আলী