সকালে ঢাকা এসে বিকেলে বাড়ি ফিরবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ!

সংগৃহীত ছবি

সকালে ঢাকা এসে বিকেলে বাড়ি ফিরবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা থেকে যাঁরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যান, তাঁদের জন্য পদ্মা ছিল এক ভোগান্তির নাম। শুধু পদ্মা পাড়ি দিতেই লেগে যেত ঘন্টার পর ঘন্টা। ফেরি, লঞ্চ অথবা স্পিডবোটের জন্য অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এতো অপেক্ষার পরও এ পথে দৈনিক গড়ে দুই লাখ মানুষ পারাপার হতো।

 

পদ্মা পারাপারের পর আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হতো তাদের। সংকীর্ণ রাস্তা আর গাড়ির দীর্ঘ জট ছিল। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৬০ কিলোমিটারের মতো। এ পথটুকু গণপরিবহনে যেতে এখন তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগে—পদ্মা পারাপারে স্পিডবোট, লঞ্চ বা ফেরি যে মাধ্যমই ব্যবহার করা হোক।

পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে। মূল এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের। আর সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়কও রাখা হয়েছে।

মাওয়া দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে সময় লাগতো দুই থেকে তিন ঘণ্টা। ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনকে গড়ে দুই-তিন ঘণ্টা ও পণ্যবাহী যানকে ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ করে ঈদ আর পুঁজোর ছুটিতে ফেরিঘাটে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও অপেক্ষার রেকর্ডও আছে যাত্রীদের। অবশেষে পদ্মা সেতু চালুর পর এই জন দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে। ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার দুর্ভোগ মাত্র ছয় মিনিটেই শেষ হবে এখন। ঢাকা থেকে যাঁরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যান, সেতু উদ্বোধনের খবরে তারা উচ্ছ্বাসিত। তাদের কাছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন স্বপ্ন পূরণের ব্যাপার। কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ ছয় মিনিটেই শেষ হওয়ার অপেক্ষায় তারা।

নদীর স্রোত, ঝড়, বৃষ্টি, কুয়াশায় দিনের পর দিন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষদের। এ কারণে ঈদ ছাড়া তেমন একটা বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ থাকতো না তাদের। এখন তাদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। এখন যখন প্রয়োজন দ্রুততম সময়ে ঢাকায় যেতে পারবেন, সকালে গিয়ে বিকেলে আবার বাড়িতে ফিরতেও পারবেন।

news24bd.tv/arif

এই রকম আরও টপিক