পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর টোল আদায় থেকে প্রথম বছর আয় হবে এক হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচের ৩০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে সময় লাগবে আনুমানিক ২১ বছর। তবে পুরো টাকাই বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পাবে না। প্রথমত আয় থেকে সরকারকে ভ্যাট দিতে হবে।
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে টাকা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ঋণের টাকা ১ শতাংশ হারে সুদসহ ফেরত দিতে হবে ৩৫ বছরে। এজন্য কিস্তি পরিশোধ করতে হবে তিন মাস পরপর। সব মিলিয়ে ১৪০ কিস্তিতে ঋণের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেতু চালুর পরের কয়েক বছর মুনাফা হবে না। ২০২৯ সালে গিয়ে কিস্তি পরিশোধের পর মুনাফা করতে থাকবে সেতু বিভাগ। ২০৫০ সাল নাগাদ পদ্মা সেতু থেকে মুনাফা হবে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
তবে পদ্মা সেতুর খরচ উঠতে কত বছর সময় লাগতে পারে-গত ১৯ মে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডিতে ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। কারণ মোংলা পোর্ট যে এত শক্তিশালি হবে, পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে সেগুলো কিন্তু ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি। তিনি তখন জানান, পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ১ শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে।
news24bd.tv/Mollika