যাত্রী থেকেও নাব্যতা সংকটই বেশি ভাবায় লঞ্চ মালিকদের

সংগৃহীত ছবি

যাত্রী থেকেও নাব্যতা সংকটই বেশি ভাবায় লঞ্চ মালিকদের

অনলাইন ডেস্ক

পদ্মা সেতু চালুর ফলে যাত্রীসংকটের চেয়ে নদীর নাব্যতা নিয়ে বেশি চিন্তিত লঞ্চ মালিকেরা। ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে নাব্যতা রক্ষায় নদীতে পর্যাপ্ত গভীরতা রাখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ তাদের। এটাই এখন তাদের বড় চিন্তার কারণ।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, প্রতিবছরই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে খননকাজ করা হয়।

কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে বছর ঘুরতেই পলি জমে আবার নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। ফলে আর্থিক ব্যয়ের পাশাপাশি ভোগান্তি লেগেই থাকে। এ জন্য নৌপথের টেকসই উন্নয়নের দিকে জোর দিচ্ছে সরকার।  
২০২০ সালে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথ নিয়ে একটি বড় ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

‘বরিশাল বিভাগের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমি বাস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদি বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষার প্রতিবেদন গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বরিশাল বিভাগে ৩১টি নৌপথের মধ্যে মাত্র ৪টিতে নৌযান চলাচলের পর্যাপ্ত নাব্যতা আছে। বাকি ২৭টি নৌপথে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকট দেখা যায়।

প্রতিবেদনে নৌপথের টেকসই সুরক্ষার পাশাপাশি নদীর সীমানা পুনরুদ্ধার, জলাভূমির বাস্তু পুনরুদ্ধার করে সেচব্যবস্থার উন্নয়নের কথা বলা হয়। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা প্রতিরোধ করে এতে সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত নদী ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলো দ্রুত ও স্বল্প সময়ে খনন এবং সংরক্ষণে বরিশাল নগরের কীর্তনখোলার তীরে মেরিন ওয়ার্কশপ মাঠে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজার বেজ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনায় নৌপথ খনন ও তদারকি কাজ সহজ হবে।

news24bd.tv/আরিফ