এক শতাব্দীর পর ঋণ খেলাপির তালিকায় রাশিয়া

সংগৃহীত ছবি

এক শতাব্দীর পর ঋণ খেলাপির তালিকায় রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিদেশি ঋণ খেলাপির তালিকায় চলে এসেছে রাশিয়ার নাম। এক শতাব্দীর পর অর্থ্যাৎ ১০৪ বছর পর এ তালিকায় এলো পুতিনের দেশটি। রুশ বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো এ তালিকায় এলো রাশিয়া।

সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়,  ১০ কোটি ডলারের একটি কিস্তি পরিশোধ করার জন্য রোববার পর্যন্ত সময় ছিল রাশিয়ার হাতে।

ওই অর্থ তাদের হাতে ছিল এবং মস্কো তা দিতেও সম্মত ছিলো । কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের হাতে ওই ডলার পৌঁছাতে পারেনি ক্রেমলিন।

রাশিয়ার ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে হোয়াইট হাউস বলছে, ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে তাদের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শক্তি এটি। তারা ঋণের টাকা দিতে পারল না।

তবে ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। তারা বলছে, ডলার ও ইউরোতে কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থটি বেলজিয়াম ভিত্তিক সেটেলমেন্ট হাউস ‘ইউরোক্লিয়ারে’ আটকে রয়েছে।

ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে করে প্রথমে চাপে পড়লেও বর্তমানে  ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটির অর্থনীতি। বর্তমানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রাশিয়ার মুদ্রা সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে অবস্থানে রয়েছে।

গত এপ্রিলেও ঋণ খেলাপির দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল মস্কো। তবে অনেক কিছুর পরে ঋণদাতাদের ডলারে ঋণ পরিশোধ করে দেশটি। ওই সময় দেশটির অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে ৫৬৫ মিলিয়ন ডলারের যে কিস্তি রয়েছে তা গচ্ছিত রয়েছে। এমনকি ২০২৪ সালের ৮৪ মিলিয়নের ঋণের কিস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে রুশ অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, নিষেধাজ্ঞার মানে হল, মস্কোর ঋণের টাকা পরিশোধের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া। এতে করে রুবল ছাড়া আমাদের ঋণ পরিশোধের কোনো পথ নেই।

১৯১৮ সালে বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয় রাশিয়া। বলশেভিক বিপ্লবের সময় নতুন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেলিন রাশিয়ার ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন সে সময়। আর যে কোনো ধরনের ঋণ পরিশোধে রাশিয়া সর্বশেষ খেলাপি হয় ১৯৯৮ সালে। বরিস ইয়েলৎসিনের পতনের সময় রুবলের সংকট দেখা দিলে অভ্যন্তরীণ বন্ডগুলোতে অর্থ প্রদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল মস্কো।
news24bd.tv/আলী