ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল হিসাব করে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী বাসের ভাড়া ফের পুনর্নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বাসের মোট আসনের ৭০ শতাংশ পূর্ণ ধরে টোলের হিসাব করায় এই অঞ্চলের সব রুটের ভাড়াই বেড়েছে।
শুক্রবার থেকে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় করা হবে। এ জন্য বৃহস্পতিবার এ সড়কের ১৫টি রুটে চলাচলকারী বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জুন রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি রুটে চলাচল করা বাস ভাড়া চূড়ান্ত করেছিল বিআরটিএ। এরপর ২০ জুন হালনাগাদ দূরত্বের ভিত্তিতে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এবার ৪০ ও ৫১ আসন বিশিষ্ট দুই ধরণের বাসের ভাড়াই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার।
এবার ভাড়া বেড়েছে টোল হিসাবের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায়। এর আগের দুইবার বাসের শতভাগ আসন পূর্ণ ধরে টোলের টাকা ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন হিসাবে বাসের মোট সিটের ৭০ শতাংশ ২৮ দিয়ে টোলের টাকা ভাগ করা হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে ৪০ আসন বিশিষ্ট একটি বাসের টোল ৪৯৫ টাকা। ২৮ আসন পূর্ণ ধরলে যাত্রী প্রতি টোলের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৬৭ পয়সা। এদিকে পদ্মা সেতুতে দুই হাজারসহ ঢাকা বরিশাল রুটে মোট টোল ২ হাজার ৬৯৫ টাকা। যাত্রী প্রতি টোল ৯৬ টাকা ২৫ পয়সা।
পুনর্নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৪২৩ টাকা। যা আগে ধরা হয়েছিল ৩৯২ টাকা। এছাড়া নতুন তালিকায় ঢাকা থেকে খুলনার ভাড়া ৫৩৭ থেকে ৫৭৫ টাকা হয়েছে। এর মধ্যে টোলই ১০০ টাকা। ঢাকা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২২৬ থেকে বেড়ে ২৫৭ টাকা হয়েছে।
এদিকে পুনর্নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা-পিরোজপুর ৫৮০, বাগেরহাট হয়ে ঢাকা-পিরোজপুর ৬১৯, ঢাকা-পটুয়াখালী ৫৬১, ঢাকা-মাদারীপুর ৩৪৪, ঢাকা-সাতক্ষীরা ৬৮৯, ঢাকা-ফরিদপুর ৩২৩, বাবুবাজার সেতু হয়ে শরীয়তপুর ২৫৭, ঢাকা-কুয়াকাটা ৭৬৭, কক্সবাজার থেকে বরিশাল ১ হাজার ৩৮৮, চট্টগ্রাম-খুলনা ১ হাজার ১৯২ এবং চট্টগ্রাম-বরগুনা ১ হাজার ২৮২ টাকা করা হয়েছে।
news24bd.tv/কামরুল