‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে’ নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে যানবাহনের টোল আদায় শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
এর আগে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে টোল আদায়ে গত বুধবার অপারেটর কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের (কেইসি) সঙ্গে চুক্তি করে সওজ। এ মহাসড়কে দুটি টোল কালেকশন বুথ ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা প্রান্তে করা হয়েছে।
ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আজ শুক্রবার যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। ধলেশ্বরী বুথে পাঁচটি বুথের মাধ্যমে টোল গ্রহণ করা হচ্ছে। ওই মহাসড়কে চারটি টোল কালেকশন বুথ গ্রহণ করার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত দুটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ের অন্তবর্তী টোলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
গত মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, নীতিমালা অনুযায়ী যথাসময়ে চূড়ান্ত টোল নির্ধারণ হবে।
অন্যদিকে, গতকাল হাইকোর্টকে সওজ জানায়-এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হওয়ায় ১ জুলাই থেকে পোস্তগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুতে টোল দিতে হবে না।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে ছয়টি এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টের দূরত্বের ভিত্তিতে টোলের হিসাব দেওয়া হয়।
মুন্সিগঞ্জ জোনের সড়ক ও জনপথে নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা বলেন, গতকাল রাত ১২টার মধ্যে কেইসি টোল আদায়কারী সংস্থাকে টোল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাই টোল কালেকশন ও অপারেশন প্রক্রিয়া করে থাকবে।
news24bd.tv/কামরুল