হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার বার্ষিকীতে আজ সকাল সাড়ে সাতটায় গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তারপর ইটালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ছয় বছর আগের হামলায় সাতজন জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যারা মেট্রোরেল লাইন ওয়ান প্রকল্পের গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
হলি আর্টিজানের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক উল্লেখ করে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ, ভারতসহ এ ঘটনায় যারা ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাদের সবাইকে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা খুবই ব্যথিত। এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কীভাবে ঘটছে। একসঙ্গে কাজ করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান জানিয়েছেন, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সকালে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। হলি আর্টিজানের ভবনটি এখন বাসা হিসেবে ব্যবহার করার কারণে তারা চান না এখানে বিশৃঙ্খলা হোক। এ কারণে কেউ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন।
২০১৬ সালের রমজান মাসের শেষের দিকে মানুষ যখন ঈদের আনন্দে আনন্দিত হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল, তখন বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে যায়।
ওই বছরের ১ জুলাই রাতে তারাবিহ নামাজ বাদ দিয়ে পথভ্রষ্ট কতিপয় যুবক রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। সেখানে রাতভর জিম্মি করে রেখে জঙ্গিরা ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, এক ভারতীয় ও এক মার্কিন নাগরিককে হত্যা করে।
news24bd.tv/আলী