জার্মানির সম্প্রচার সংস্থা ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রচার পুনরায় শুরু করতে হলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলেছে।
ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুরস্কের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্কের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সুপ্রিম কাউন্সিল (আরটিইউকে) এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কের মিডিয়া ওয়াচডগটি ডিডাব্লিউ ও অন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলে। অন্যথায় দেশটির ২০১৯ সালের মিডিয়া আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানায়।
ডিডাব্লিউ বিবৃতি দিয়ে জানায় যে, তারা এটি মানতে পারছে না, কারণ, এতে তুর্কি সরকার তাদের কনটেন্ট সেন্সর করার অধিকার পাবে।
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বলেন, ‘আমরা বিস্তারিতভাবে চিঠির মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কেন আমরা এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি না তা জানিয়েছি। যেমন, তুরস্কে লাইসেন্সকৃত মিডিয়াগুলোকে আরটিইউকের কাছে অনুপযুক্ত মনে হয়-এমন অনলাইন কনটেন্ট মুছে দিতে হয়। একটি স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে এটি অগ্রহণযোগ্য। ’
ডয়চে ভেলে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
ডিডাব্লিউ ও অন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে তুরস্কের জনগণ স্বাধীন খবর পায়। এর আগে ভয়েস অব আমেরিকা ও ফ্রান্সের ইউরোনিউজকেও লাইন্সের নোটিশ পাঠিয়েছিল আরটিইউকে।
২০১৯ সালের তুর্কি মিডিয়া আইনের শর্ত মেনে দেশটিতে একটি লিয়াজোঁ অফিস বসিয়েছে ডয়চে ভেলে। ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে সেখানকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনও করেছে।
দেশটির ১০ সদস্যের আরটিইউকে বোর্ডে প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের রক্ষণশীল একেপি দল ও অতি ডানপন্থি এমএইচপি দলের প্রাধান্য রয়েছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
news24bd.tv তৌহিদ