সম্প্রতি বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে কয়েকদিনের জন্য দেশে ফিরেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তিনি অবস্থান করছেন ঢাকার এক হোটেলে। এরই মধ্যে সংসদে বাজেট অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা।
আজ শনিবার (২ জুলাই) জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মতবিনিময়ের জন্য ডেকেছিলেন রওশন এরশাদ।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশে রওশন এরশাদ বলেন, আজকে যারা এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন তারাই জাতীয় পার্টির প্রকৃত নেতাকর্মী।
রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ছয়মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। অথচ যাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
তিনি বলেন, অনেক ভালো ভালো নেতাকর্মী দলের বাইরে আছে, তাদেরকে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। কাজী জাফর, শাহ্ মোয়াজ্জেম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেক সিনিয়র নেতা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবো না।
পার্টি শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে মন্তব্য করে সংসদের এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, এরশাদ তিলে তিলে এই দলটা গড়েছেন। সকলকে নিয়েই কাজ করতে হবে। বিমানবন্দরে আমি আসার দিন এত মানুষ আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে দেখে আমার দুচোখে পানি এসে গেছে।
প্রয়াত স্বামী এরশাদকেও স্মরণ করে রওশন এরশাদ বলেন, এরশাদ ওপারে ভালো আছেন। মৃত্যুর আগের রাতে তিনি আমাকে বলেছিলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। সকালে শুনি উনি (এরশাদ) ইন্তেকাল করেছেন। উনি জান্নাতবাসী হবেন। কারণ তিনি ইসলামের খাদেম ছিলেন। ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করেছিলেন। পবিত্র শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেন। মসজিদ মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ের পানি ও বিদুৎ বিল মওকুফ করেছিলেন।
news24bd.tv/desk