‘সম্পর্ক রাখে নাই, তাই দুনিয়া থেইকা সরায়া দিলাম’

সংগৃহীত ছবি

‘সম্পর্ক রাখে নাই, তাই দুনিয়া থেইকা সরায়া দিলাম’

অনলাইন ডেস্ক

আরিফুল ও সোহাগীর পরিচয় মুঠোফোনে। দীর্ঘদিন কথা বলার পর দেখার ইচ্ছা জাগে দুজনেরই। মুঠোফোনে পরিচয়ের দুই মাসের মাথায় প্রথম দেখা হয় তাদের। তবে যুবককে দেখলেও মন খারাপ করে ফিরতে হয় তরুণীকে।

আরিফুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে বুঝতে পেরে মুঠোফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সোহাগী। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আরিফুল। ক্ষুব্ধ হয়েই সোহাগীকে প্রাণে মারেন তিনি।

শেরপুরের নকলায় সোহাগী আক্তার হত্যায় কথিত প্রেমিক আরিফুলকে আটকের পর বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

সোমবার ভোরে উপজেলার কায়দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ২০ বছর বয়সী সোহাগী কায়দা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি নকলা সরকারি হাজী জাল মাহমুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

অভিযুক্ত ২৮ বছরের আরিফুলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালথা গ্রামে। তিনি একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে আরিফুলের সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় সোহাগীর। দীর্ঘদিন কথা বলার পর গত রমজান মাসে প্রথম দেখার পরই সোহাগী বুঝতে পারেন- আরিফুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এরপরই তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে অনেক চেষ্টা করেও সোহাগীর সঙ্গে কথা বলা কিংবা যোগাযোগ করতে না পেরে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন আরিফুল। একপর্যায়ে সোহাগীকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

রোববার রাতের কোনো এক সময় সোহাগীদের বাড়ির বাইরে রান্নাঘরে অবস্থান নেন আরিফুল। সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন সোহাগীর বাবা। ঠিক সে মুহূর্তেই তাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন আরিফুল। চিৎকার শুনে সোহাগী ও বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলে বাবাকে ছেড়ে সোহাগীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন তিনি। এতে বাবা-মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মুমূর্ষু শহিদুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আরিফুলকে আটক করা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছেন- আমার লগে সম্পর্ক রাখে নাই, তাই ওরে দুনিয়া থেইকা সরায়া দিলাম। ওসি বলেন, আটক আরিফুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/আলী