ব্লু ইকোনমির জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় প্রয়োজন : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

ব্লু ইকোনমির জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় প্রয়োজন : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

সজল দাস 

সমুদ্র তীরবর্তী বাংলাদেশ। ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বিশাল সমুদ্রসীমার এই দেশের রয়েছে ব্লু ইকোনমি বা নীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা। যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

গুরুত্ব বিবেচনায় এবার পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

সমুদ্র সম্পদের অপার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ‘মিনিস্ট্রি অব সি-রিসোর্সেস’ নামে পৃথক মন্ত্রণালয় স্থাপনের কথা বললেন তিনি।

এক্সপ্লোরিং দ্যা পটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্যা ব্লু ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। ‘ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলোশিপ ২০২২’এর আওতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন মঙ্গলবার এ সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘিরে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক আর্থ-সামাজিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

দেশের সমুদ্র সম্পদের সমন্বয় সাধন, পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। যার অংশ হবেন, দেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, সমুদ্র গবেষকসহ সংশ্লিষ্টরা।

ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের সমুদ্রসীমায় কী পরিমাণ প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদ রয়েছে সেটি সুনির্দিষ্ট করা এবং এই কাজে গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, সমুদ্র সংরক্ষণ ও একে দূষণমুক্ত করতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি, সামুদ্রিক শৈবালের ঔষধি গুণ নিয়ে কাজ করারও আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, সিউইডসসহ সমুদ্র সম্পদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে যথাযথ অর্থায়ন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে গবেষণা পুল তৈরি করে গবেষণা প্রকল্প জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ‘সমুদ্র বিজয়’ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন; কিন্তু সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে এই অর্জন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সেমিনারে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং রিসার্চ সাপোর্ট ও পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট গবেষক প্রফেসর ড. মো. আফজাল হোসেন।

news24bd.tv তৌহিদ