প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর পৌরসভায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। এ সময় অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে ভিকটিমের আপত্তিকর ভিডিও সম্বলিত ১টি মোবাইল, ২ টি সীম, ১টি মেমোরী কার্ড, ভিকটিমের আপত্তিকর ছবির স্ক্রিনশট ৫ পাতা ও নগদ ৪১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মো.কালাম ওরফে কালা মিয়া (৩০) উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর গ্রামের আবিদ মিয়ার বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন আল আকসা রেঁস্তোরার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো.শামীম হোসেন।

র‌্যাবের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম (২৬) একজন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। ভিকটিমের স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় পিতার বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে ছোট ২ ছেলে নিয়ে একা বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে।

আসামি কালাম ভিকটিমকে বিয়ের আগে থেকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিত।

বিবাহের পর ভিকটিমের স্বামী প্রবাসে চলে গেলে আসামি বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তা-ঘাটে ভিকটিমকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিত। গত ২৬ জুন রাত ১০টার দিকে ভিকটিম রাতের খাবার শেষ করে ছোট ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাহিরে টয়লেটে যায়। ওই সুযোগে কালাম অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ভিকটিমের অগোচরে বসত ঘরে প্রবেশ করে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকে। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিম তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে মানুষের হাতের স্পর্শ অনুভব করায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে ভিকটিম আসামি দেখতে পায়।

ওই বিজ্ঞপ্তি আরো বলা হয়, ভিকটিমকে ঘুমের ঘোরে থাকা অবস্থায় আসামি তার অজান্তে অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। পরে আসাসি তার হাতে থাকা ১টি ছোরা ভিকটিমের ছোট ছেলের গলায় ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি ভিকটিম ও তার সৌদি প্রবাসী স্বামীকে মোবাইল করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা প্রদান না করলে ভিকটিমের অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাব সদস্যরা আটক করে থানায় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ সুধারাম থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন বলে জানান ওসি।

news24bd.tv তৌহিদ