সুনামগঞ্জে পুলিশের এসআই স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বাঁধনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর পরিবারের দাবি, নিহত গৃহবধূর স্বামী এসআই আমির দ্বিতীয় স্ত্রী রিক্তাকে বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে রিক্তার উপর মানসিক নির্যাতন চলাত।
নিহতের নাম মুহফুজা সাজনা রিক্তা। তিনি তাহিরপুর উজলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্বামী এসআই আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা।
নিহত রিক্তার চাচী শারমিন বেগম বলেন, এক বছর আগে রিক্তাকে বিয়ে করে আমির। তখন সে জামালগঞ্জ থানায় চাকরি করতো। রিক্তা সুনামগঞ্জ পড়াশুনা করতো। সেখানে তাদের পরিচয় থেকে প্রেম, পরে বিয়ে হয়। বিষয়টি মেনে নিয়েছিলাম আমরা।
রিক্তার মা খালেদা বেগম বলেন, পরিবার ও প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে রিক্তাকে বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবার রাতে রিক্তা বলেছে আমিরের পরিবার ও প্রথম স্ত্রী তাকে বকাবকি করেছে। হুমকি-ধামকি দিয়েছে। এ কারণেই মেয়ে আত্মহত্যা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসআই আমির দাবি করেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না তার। তবে প্রায়ই রাগ করে মোবাইল ফোন ভাঙতো স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করার কথা জানিয়ে ফ্যানে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো দেখায়। পরে বাসার মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। মালিক এসে বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করে পারেননি। পরে সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসআইয়ের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারব।
news24bd.tv তৌহিদ
