যাত্রীর চাপে ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় : স্টেশন ম্যানেজার

সংগৃহীত ছবি

যাত্রীর চাপে ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় : স্টেশন ম্যানেজার

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহা রোববার (১০ জুলাই)। ঈদের আগে শনিবার (৯ জুলাই) শেষ দিনেও কমলাপুরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। একইসঙ্গে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে এমনঅবস্থায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৭ তারিখ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল।

তবে ওদিন সন্ধ্যার পর থেকে অফিস-আদালত ও গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় ব্যাপক সংখ্যক যাত্রী স্টেশনে আসেন। তাদের এই জনস্রোতের কারণে আমাদের কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়। তবে সেটা শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের কয়েকটা ট্রেনের ক্ষেত্রে হয়েছে।  

শনিবার (৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ সকাল থেকে ১৮টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। মাত্র দুটি ট্রেন ছাড়া বাকিগুলো স্টেশন ছেড়ে গেছে। নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস এখনও স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। এলেই আমরা ছেড়ে দেব।  

পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ১২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের জনস্রোত হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠে পড়বে, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। আমাদের এলিট ফোর্স তথা রেলওয়ে পুলিশ, র্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন বাহিনী দিয়েও এদের প্রতিহত করা গেল না। জনস্রোত কখনও প্রতিহত করা যায় না। যেহেতু সবাই ঘরমুখী, এই কারণে সবাই ট্রেনে উঠে পড়েছে। মানুষের চাপের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি বসে যায়। ওখানে যতটুকু সম্ভব যাত্রী নামানো হয়েছে। চার-পাঁচ ঘণ্টা দেরি হয়েছে সেখানে। যে কারণে ট্রেন কমলাপুর আসতে দেরি হয়েছে।  

টিকিট ছাড়া যাত্রীদের কারণে টিকিট কাটা যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটাই বাস্তবতা। কীভাবে ঠেকাবেন বলেন!

news24bd.tv/আলী