ঈদের রাতের আমল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

প্রতীকী ছবি

ঈদের রাতের আমল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

অনলাইন ডেস্ক

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। রাতগুলো হলো-৮ জিলহজের রাত, আরাফার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত, ঈদুল আজহার রাত এবং ১৫ শাবানের রাত।

ঈদের রাত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগ্রত থেকে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে ইবাদতে মশগুল থাকবে, যেদিন অন্য সমস্ত দিল মরবে, সেদিন তার দিল মরবে না। ’ এর অর্থ হলো- কিয়ামতের দিন অন্যান্য দিল পেরেশানীতে থাকলেও দুই ঈদের রাত জাগরণকারী ব্যক্তির দিল শান্তিতে থাকবে।

(তিবরানী শরীফ)

একদা ঈদুল ফিতরের দিন হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হযরত উমর (রা.)-র নিকট গেলেন। গিয়ে দেখলেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে তিঁনি কাঁদছেন। হযরত আবু হুরায়রা আরজ করলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি কাঁদছেন অথচ লোকেরা ঈদের আনন্দে মুখর! হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আনন্দে মুখর ব্যক্তিরা যদি জানতো, তাহলে তারা আনন্দ-উৎসব করতো না। অতঃপর পুনরায় তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের আমল যদি কবুল হয়ে থাকে তবে তারা আনন্দ করুক।

আর যদি কবুল না হয়ে থাকে তথা বর্জিত হয়ে থাকে তবে তারা কাঁদুক। কিন্তু আমি জানি না, আমার আমল কবুলের পর্যায়ভুক্ত না বর্জিতের অন্তর্ভুক্ত।

ঈদের রাতের বড় প্রাপ্তি হলো, এই রাতে দোয়া কবুল হয়। কোনো দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। বরং আল্লাহ তা'য়ালার দরবারে তা সরাসরি কবুল হয়। তাই এ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী, তছবীহ্ পাঠ, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, দরূদ শরীফ ও যিকির-আযকারের মাধ্যমে অতিবাহিত করা অতি উত্তম। মনের নেক মকছুদসমূহ মহান আল্লাহ পাকের নিকট জানালে মহান আল্লাহ পাক নিশ্চয় তা কবুল করবেন।
 
তাই আসুন, সম্ভব হলে সবাই রাত জেগে এ রাতে আমল করি। আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করি।

এই রকম আরও টপিক