বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পথে পথে দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে ট্রেনের কথা আপনি বলছেন- এগুলোর কোনো অথোরিটি আছে, কোনো কর্তৃত্ব আছে- সেটাই মনে হয় না। রাস্তা-ঘাটে আপনারা দেখেছেন প্রতিদিন কিভাবে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে এতো বড়াই করেছেন সেই বিদ্যুতে আজকে লোড-শেডিং করতে হচ্ছে তিন-চার ঘণ্টা করে। এর মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। কারণ পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ ভাবে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে আনা হয়েছে। এসব প্রকল্প স্থাপনে কোনো আন্তর্জাতিক টেন্ডার পর্যন্ত হয়নি এবং এমন আইন করা হয়েছে যে, এখানে যদি কোনো অভিযোগ উঠে তাহলে কোনো রকমের মামলা করা যাবে না-অর্থাৎ ইন্ডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে কোনো প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে এটা কোনোভাবে হতে পারে না।
গ্যাসের কথা বলছে। আজকে এলএনজি নেওয়ার জন্যে এই সরকার গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। তারা পুরোপুরিভাবে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে ১/২ টি কোম্পানিকে সহযোগিতা করার জন্য তারা এই সমস্ত দুর্নীতি করছে। গোটা ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশকে লুট করার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা করে। প্রকৃত পক্ষে এই সরকার একটা লুটেরা সরকারে পরিণত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের উন্নয়নের যে মিথ, যে ধোঁয়া তারা তুলেন-এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের দুই লক্ষ্য আছে। একটি হচ্ছে দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের পকেট ভারী করা এবং আরেকটি হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যে তারা উন্নয়ন করছে। প্রকৃত পক্ষে এদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে। শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করে। পরে দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
news24bd.tv/রিমু