শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বাসভবন দখল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। রোববার বিক্ষোভস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন পরিকল্পনার কথাই বিক্ষোভের নেতারা জানিয়েছেন।
শনিবার শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে বিক্ষোভকারীরা গণবিক্ষোভের ডাক দেয়। কার্ফিউজ জারি করেও থামানো যায়নি মানুষের স্রোত।
এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করার পর দেশটির বিরোধীদলগুলো একটি সর্বদলীয় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। রোববার দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নেয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
তবে এ ইস্যুতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শ্রীলংকাকে ফেলে দিচ্ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে শ্রীলংকার সংবিধান অনুযায়ী স্পিকার সেদেশে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন সর্বোচ্চ এক মাস। এরইমধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদের শেষ দুই বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পার্লামেন্টে নির্বাচন করতে হবে নতুন প্রেসিডেন্ট। আর তাকে শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে, সেই সাথে সমুন্নত রাখতে হবে মানবাধিকার। যা দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
news24bd.tv/রিমু