বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে

সংকট মোকাবেলায় যেভাবে খরচ কমাতে চায় সরকার

শাহনাজ ইয়াসমিন

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকের বেশি খরচ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান বলছেন, কৃচ্ছতা সাধনের কৌশল হিসেবে এই অর্থবছরে সরকার অন্তত ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে চায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যয়ের পরিমাণ আরও কমাতে হবে। সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ, যানবাহন কেনাকাটাসহ উন্নয়ন প্রকল্পের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।

 

করোনা মহামারির ধাক্কায় টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায়, তখনই রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোল। এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারেনি বিশ্বের ধনী দেশগুলোও। সংকট মোকাবেলায় আগে থেকেই কৃচ্ছতা সাধনের ইঙ্গিত দিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। জারি করা হয়েছিলো কয়েক দফা  নানা পরিপত্র।

ক্ক

জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর যানবাহন কেনা বাবদ বরাদ্দ ছিলো ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকা। সম্মানী বাবদ ছিলো ৫ হাজার কোটি টাকা। এখন নতুন সিদ্ধান্তে সে খরচ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ভ্রমণ, মনিহারি কেনাকাটা, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ব্যয় কমাবে ৫০ ভাগ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনাও দিয়েছে সরকার।  ব্যয় কমানোর অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছাড়া সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করা এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে ব্যয় না করার নির্দেশনার রয়েছে সরকারের।

ল্ল

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, যে সব খাতে ব্যয় না করলেও চলতো, সে ধরনের ব্যয় কমানোর সময় এসেছে। এ অবস্থা পুরো অর্থবছরেই থাকবে। তবে দুই এক মাসের মধ্যে এর সমন্বয় ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। রিজার্ভের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি ‘সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আগামী ছয়মাস সময়কে খুব গুরুত্বপূর্ণ ধরে ব্যয়ের পরিমাণ অনেক ক্ষেত্রে আরও কমানোর পরামর্শ দেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, কৃচ্ছতা সাধনে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবশ্যই তা ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাস্তবায়ন করাটা একটা চ্যালেঞ্জ এবং এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।  

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকেও খরচের লাগাম টানার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

news24bd.tv/রিমু