ভারত ও বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার যে ‘সংবাদ’ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। একই সঙ্গে ‘সংবাদটিকে’ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের ২৪ তারিখে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কয়েকজন সদস্য দিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এর সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশও (জেএমবি) জড়িত। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছের কয়েকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কয়েকজন কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানান, এটি ভিত্তিহীন খবর।
এর পরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি আসে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ একটি বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন পত্রিকার সূত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গত ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রাণনাশী হামলার ব্যর্থ চেষ্টার খবর প্রকাশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর তথাকথিত ব্যর্থ হামলার সঙ্গে একটি বিশেষ বাহিনীর কতিপয় সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করে বাংলাদেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রচারসহ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরো বলা হয়, ‘সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর ২৪ আগস্ট হামলার খবরটি সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ’
‘এরূপ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতা অবলম্বন এবং বিচার-বিবেচনাপ্রসূত মিডিয়া কার্যক্রম পরিচালনার জন্য’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।