অবসরে ওজিল

মেসুত ওজিল

অবসরে ওজিল

ক্রীড়া ডেস্ক

জার্মানির জার্সিতে আর খেলবেন না মেসুত ওজিল! কাল গোটা ফুটবল দুনিয়ার ভক্ত-অনুরাগীদের অবাক করে এমনটাই জানান আর্সেনালের এই তারকা মিডফিল্ডার।

বিশাল এক বিবৃতিতে ওজিল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) তার ওপর যে রকম আচরণ করেছে, তাতে তিনি চরম হতাশ। ওজিল তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আর কখনোই জার্মানির জার্সি গায়ে জড়াতে চাই না। ’

সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় জার্মানি।

১৯৩৮ সালের পর এবারই প্রথম এমন লজ্জায় পড়তে হয়েছে তাদের। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে না পারার পেছনে দেশটির অনেকেই দায় দিচ্ছেন ওজিলকে।

বয়স ২৯ বছর ছাড়িয়ে গেছে ওজিলের। জার্মানির জার্সিতে ৯২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

এই সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে ২৩বার বল জড়িয়েছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে জার্মানিকে দুই যুগ পর বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার অন্যতম নায়কও তিনি। অথচ হঠাৎ করেই জার্মানির জার্সিতে আর না খেলার ঘোষণা দিলেন। কিন্তু কেন?

এর কারণটা জানতে হলে আরও পেছনের দিকে যেতে হবে। গেল মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেন ওজিল। লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ ইলকে গুন্ডোগানও। দু’জনই তুরস্কের বংশোদ্ভূত জার্মান মিডফিল্ডার।

এরপর থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। জার্মান দলের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগও তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদেরকে মেইলে ঘৃণা ছড়ানো বার্তাও পাঠানো হয়। টেলিফোন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হুমকি দেওয়া হয় ওজিলকে।

news24bd.tv
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ওজিলের এই ছবিই বিতর্কের জন্ম দেয় 

যদিও ওজিল জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলেছি। ওই দেশের সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্ক। সেই সম্মানের জায়গা থেকেই তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছি। কোনো ব্যক্তি বিশেষকে নয়, বরং আমি ওই দেশের প্রেসিডেন্ট পদটাকেই সম্মান দেখাতে চেয়েছি। ’

ওজিল বলেন, ‘আমি তুর্কি বংশোদ্ভূত। যে কারণেই তুরস্কের প্রতি আমার ভালোবাসা রয়েছে। আমার পিতা আমাকে শিখিয়েছেন, আমরা যেখান থেকে এসেছি, যেখানে আমাদের পরিবার বেড়ে উঠেছে কিংবা যেখানে আমাদের স্মৃতি রয়েছে, আমরা যেন তাকে ভুলে না যাই। ’
 

সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর