রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় নতুন সরকার আসার পর অচলাবস্থা আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করেছে। কলম্বোতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই ১০০ দিন পর কাজ শুরু হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ে। কড়া সেনা নিরাপত্তায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের দফতরে সোমবার (২৫ জুলাই) কাজ শুরু হয় বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।
লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশজোড়া অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদ গত মার্চ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায়।
প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে মে মাসের শেষ দিকে আত্মগোপন করেন মাহিন্দা। তার দফতর বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায়।
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গত শুক্রবার দায়িত্ব নিয়েছেন রনিল। শনিবার ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দীনেশ গুণবর্ধনে। মাহিন্দার জায়গায় তদারকি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দফতরে কাজ শুরু করেছিলেন ইউএনপি দলের নেতা রনিল। এবার তার উদ্যোগে ১০০ দিন পরে খুলল প্রেসিডেন্টের সচিবালয়।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অহিংস হলে তাতে সরকারের আপত্তি থাকবে না বলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের উৎখাতের ঘটনায় কূটনীতিকদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন তিনি। রাজধানী কলম্বোসহ শ্রীলঙ্কার যেকোনো স্থানে অহিংস বিক্ষোভ করা করা যাবে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়।
news24bd.tv/আলী