‘জাতীয় চিড়িয়াখানায় দরকার গবেষণা ভিত্তিক পরিচর্চা’

‘জাতীয় চিড়িয়াখানায় দরকার গবেষণা ভিত্তিক পরিচর্চা’

শফিকুজ্জামান রুবেল

মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার অধিকাংশ প্রাণীর মাঝেই নেই প্রাণচাঞ্চল্য। বাঘ-সিংহের বেলায় অবস্থা আরও নাজুক। ক্লান্ত আর নিস্তেজ প্রাণীগুলোর দৃষ্টিতে যেন খাবারের অপেক্ষা। আগ্রহ নিয়ে চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীরাও পাচ্ছেন না পুরোপুরি বিনোদন।

তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, ঠিক আছে সবই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢেলে সাজানো প্রয়োজন পুরো ব্যবস্থাপনার।

নেই রাজকীয় চলন, নেই গর্জন। খাঁচার এক কোণে নিস্তেজ পড়ে থাকা।

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহের খাঁচার সামনে দেখা মেলে এই দৃশ্যের।

বেলা ১২টার দিকে খাচার সামনে খাবার নিয়ে আসা হলে মুহূর্তে চঞ্চল হয়ে ওঠে প্রাণীগুলো। তাদের আচরণেই বোঝা যায়, কতটা অভূক্ত তারা। একই চিত্র বাঘের খাচায়।

অন্যান্য পশু পাখির খাচাতেও অনিয়মের চিত্র স্পষ্ট। কোনো কোনো খাচা যেমন খালি পড়ে আছে, তেমনি রয়েছে যত্নের অভাব। চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীরাও এমন বেহাল দশা দেখে হতাশ।

যদিও নিয়ম অনুযায়ী প্রাণীদের খাবারের সময় সকাল ৯টায়। কিন্তু নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাতেই ধরা পড়ে দুপুরের পর খাবার দেওয়ার চিত্র।

গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর এমন ব্যাখ্যাও যেন নিয়মে দাঁড়িয়েছে। পরিচালকও বললেন, দিতে দিতে দেরি হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় চিড়িয়াখানায় দরকার গবেষণা ভিত্তিক পরিচর্চা। এ ধরনের চিড়িয়াখানায় একটু অবহেলায় হতে পারে বড় ক্ষতি।

মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৮ প্রজাতির প্রায় দুই হাজার ৭৯২টি প্রাণী রয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক