স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান রহস্যজনক কারণেই গতিহীন। করোনাকালে নিম্নমানের মাস্ক-পিপিই, থাকা-খাওয়ায় ভুয়া ভাউচারে কোটি কোটি টাকা লোপাটসহ কমপক্ষে ১৫টি বিষয়ে, দুর্নীতির অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে চার বছরে ২৭টি মামলায় মাত্র ৫টি অভিযোগ গঠন হয়েছে।
করোনার নমুনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির ঘটনায় আলোচিত প্রতিষ্ঠান ছিল জেকেজি গ্রুপ।
২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর স্বাস্থ্য খাতের লুটপাটের অভিযোগে আলোচিত কমপেক্ষে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নামে দুদক। এর মধ্যে ছিল- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন, হাসপাতালে নিন্ম-মানের মাস্ক-পিপিই সরবরাহ, মুগদা ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সদের থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য কাজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি।
এদিকে, জেএমআই গ্রুপের মাস্ক কেলেঙ্কারি, ফরিদপুর মেডিকেলের পর্দা কেলেঙ্কারিসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য মামলার তদন্তও পর্দার অন্তরালেই রয়ে গেছে। গত তিন বছরে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ টি মামলা করলেও অভিযোগপত্র জমা হয়েছে মাত্র ৫টির।
আলোচিত দুর্নীতির তদন্ত নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়ার পেছনে দুদকের সদিচ্ছা ও গাফিলতি দেখছে টিআইবি।
এছাড়া, ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। এর মধ্যে ৫০ জনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশও জারি করা হয়। এদের অধিকাংশের অনুসন্ধন-ই মাঝপথে এসে গতি হারিয়েছে।
news24bd.tv তৌহিদ