বিকৃত সঙ্গীত বিষয়ে পুলিশের কাছে মুচলেকা হিরো আলমের

সংগৃহীত ছবি

বিকৃত সঙ্গীত বিষয়ে পুলিশের কাছে মুচলেকা হিরো আলমের

অনলাইন ডেস্ক

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অভিনয়, প্রযোজনা ও গান নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তার কাজগুলো প্রকাশ হলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রতিনিয়তই হিরো আলম বিভিন্ন গানের সাথে সুর মিলিয়ে গান করছেন।  

এবার আলোচিত হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আর কখনও অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক, বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত গাইবেন না মর্মে পুলিশে মুচলেকা দিয়েছেন তিনি।   সর্বশেষ দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত তিনি ডিবি কার্যালয়েই রয়েছেন।

হাজারো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি’র সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিলো আলম। একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।

তিনি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ।

তিনি বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অজস্র অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ তাকে ডাকা হয়।

হারুন বলেন, হিরো আলমের কথা আর কি বলব! পুলিশের যে ড্রেস, যে পেটার্ন, ডিআইজি, এসপি’র যে ড্রেস তা না পরে কনস্টেবলের ড্রেস পরে ডিআইজি, এসপি’র অভিনয় করছেন তিনি। ডিএমপি’র কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও না। অথচ তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছেন। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি ডিআইজির অভিনয় করছেন। এটা তিনি জানেনও না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে কৃষ্টি-কালচার রয়েছে আমরা গান গাই-শুনি, রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান গায় তাতে এসব কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই চেঞ্জ করে দিয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি এসব কেন করেন? তখন হিরো আলম আমাদের বলেছেন, আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত গাইব না।

ডিএমপি’র সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা যায়,

news24bd.tv/আলী