ফেনীতে সেপটিক ট্যাংকের বিস্ফোরণে নিহত তিন সহোদরের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকনে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকার রহুল আমিন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের নির্মিত রুমে বিস্ফোরণে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মুন্সীর ছেলে নুর ইসলাম মুন্সি, মনিরুজ্জামান মুন্সী ও আব্দুর রহমান মুন্সির মৃত্যুর সংবাদে গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আজ বুধবার বিকালে তাদের বাড়িতে গেলে দেখা যায় পরিবারের লোকজন থেমে থেমে আহাজারি করছে। তাদের মা-বাবা বেঁচে না থাকলেও নিহত নুর ইসলাম মুন্সির স্ত্রী, দুই ছেলে, নিহত মনিরুজ্জামান মুন্সির দুই ছেলেসহ নিহত ৩ ভায়ের দুই বোনসহ পরিবারের অন্যান্যরা আহাজারি করছেন।
লাশ আনতে ফেনীতে থাকা নিহত তিন সহোদর ছোট ভাই আল-আমিন মুন্সি মোবাইল ফোনে জানান, তিন ভাই ২০ বছর ধরে ফেনীতে দিন মজুরের কাজ করত। বাড়িতে নুর ইসলাম মুন্সির ২ ছেলে ও স্ত্রী, মনিরুজ্জামান মুন্সীর ২ ছেলে ও আব্দুর রহমান মুন্সি ছিলেন অবিবাহিত।
বিকালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই ঐতিহ্যবাহী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদের পাশেই তিন সহোদরের জন্য কবর খোঁড়ার কাজ চলছে। এলাকাবাসী এবং স্বজনদের প্রত্যেকের মুখে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বলছে, এই পরিবারের তিন ভাই খুবই শান্তিপ্রিয় ছিল। তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর দরিদ্র এই পরিবারটি এখন চরম সংকটে পড়েছে। তাদের সহায়তার সরকারসহ সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এলাকাবাসী।
পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার মুঠোফোনে জানান, নিহত তিনভাই মরদেহ আনার পর মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদের পাশেই তাদের দাফন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দরিদ্র এই পরিবারটির বাকী সদস্যদের সর্বাত্মক সহায়তার চেষ্টা করা হবে।
news24bd.tv/কামরুল