শেখ হাসিনার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেন : ফখরুল

শেখ হাসিনার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেন : ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রশাসন জঘন্যভাবে জনগণের উপর অত্যাচার করছে। হারিকেন গণভবনে হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেন। তার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেন।

তিনি বলেন, গ্রামে বোরো মৌসুমে বিদ্যুৎ দরকার, গ্রামে ৭/৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

এক বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা লুটপাত করেছে সরকার। বিদ্যুতের ১০টি কোম্পানি এই সরকারের সাথে জড়িত।

দেশবাসীকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে।

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী, ভয়ঙ্কর দুর্নীতিবাজ সরকারকে একটা ধাক্কা দিয়ে পতন ঘটাতে হবে।

মির্জা ফখরুল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সমাবেশে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মহিলা দলের নেত্রীরা হারিকেন হাতে নিয়ে নানা স্লোগান দেন।

ফখরুল বলেন, এই দেশের ৪২ ভাগ মানুষ ২ বেলা খেতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তাহলে বিশেষজ্ঞরা কেন বলছেন বাংলাদেশ ঘাটতির দিকে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে এই সরকার লুটপাত করে আজশূন্য হয়ে গেছে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও ধ্বং করিছে এই সরকার।

গণতন্ত্রের কোনো অবিশিষ্ট এই সরকার রাখেনি বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনাদের কাছে আহ্বান, আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, ভয়ঙ্কর দুর্নীতিবাজ সরকারকে কি করতে হবে, একটা ধাক্কা দিতে হবে। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। আসুন আমরা সবাই মানুষকে জাগিয়ে তুলি। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এ ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাই।

খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করে রেখেছে। দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা কি আরও সহ্য করবো? আমরা কি এদেরকে আরও সময় দেব? আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুৎ, এরপরে জ্বালানি তেল, এরপর রিজার্ভ শেষ হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, তাই এখন আর কোনো কথা নেই। তাই এখন একটাই কথা, ‘একদফা এক দাবি, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি’।

প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ফখরুল আরও বলেন, এ মুহূর্তে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংসদ বাতিল করুন। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।

সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সরকারকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। এরা থাকলেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেবে। এখানে সত্য কথা বললে শাস্তি দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা লিখলে তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম আমাদের উত্তরের একজন নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলুকে টেনে হিচরে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিকভাবে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর নাম গণতন্ত্র? এটা গণতন্ত্র হতে পারে না।

news24bd.tv/তৌহিদ